ট্রেন্ডিং পায়ে হাঁটা পথ। তবে পাড়ি দেওয়া অসম্ভব।
বর্তমান দুনিয়ায় এমন একটি পথ আছে যেটি দিয়ে হাঁটা শুরু করলে কোনো যানবান ব্যবহার না করেই শুধু পায়ে হেঁটে পথের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে ২২ হাজার ৩৮৭ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে। এটিই পৃথিবীর দীর্ঘতম পায়ে হাঁটা পথ। এই পথ ধরে আপনি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে রওনা হয়ে রাশিয়ার মাগাদানে চলে যেতে পারবেন। পুরোটাই যেতে পারবেন কোনো বাঁধা ছাড়াই পায়ে হেঁটে। বিমান, ট্রেন, বাস বা লঞ্চ, কোনো যানবাহনেই আপনাকে উঠতে হবে না।
এই পথ ২২ হাজার ৩৮৭ কিলোমিটার লম্বা। গুগল ম্যাপের হিসাব মতে ঘন্টায় প্রায় ৪.৯৮৩ কিলোমিটার বেগে হেঁটে গেলে ৪,৪৯২ ঘন্টা বা ১৮৭ দিন ১৬ ঘন্টা সময় লাগবে এই পথ টুকু পার হতে। এই হিসাবে দৈনিক ৮ ঘণ্টা করে হাঁটলে পধটুকু পার হতে সময় লাগবে প্রায় ৫৬১ দিন।
এই যাত্রাপথে পড়বে প্রায় ১৭টি দেশ, ৬টি টাইম জোন। দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রাম লা আগুলাস থেকে হাঁটা শুরু করে বোস্তাওয়ানা, জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা, দক্ষিণ সুদান, সুদান, জর্জিয়া, মিশর, জর্ডান, সিরিয়া, তুরস্ক, রোমানিয়া আর বেলারুস ইত্যাদির উপর দিয়ে হেঁটে যতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ঢুকতে হবে বন্যপ্রাণির জন্য বিখ্যাত জিম্বাবুয়েতে। হাঁটতে হবে উগান্ডার ন্যাশনাল পার্কে সামনে দিয়ে। চুরি ডাকাতির জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ সুদান পার হয়ে সুদানের সাহারা মরুভূমির কিছু অংশ পার হতে হবে হেঁটে। সুদান থেকে মিশরে যাওয়ার রাস্তা টুকু সত্যিকারের পায়ে চলা রাস্তা হবে। অসান্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াে উপর দিয়েও যেতে হবে এগিয়ে। রাশিয়ায় এসে মোকাবেলাকরতে হবে সাইবেরিয়ার বৈরি শীত। এবং শেষে এই পথ ধরে হেঁটে পৌছেতে হবে পথের শেষ প্রান্ত রাশিয়ার শহর মাগাদানে।
এই যাত্রাপথটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হেঁটে চলার পথ হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও এখন পর্যন্ত কোন পথিক এই পথ পুরোটা পাড়ি দিতে পারেনি পায়ে হেঁটে। এখন পর্যন্ত কেউ চেষ্টা করেছে বলেও শুনি নি। এই পথে পা না বারানোর বেশ কয়েকটি কারণ আছে। পথ বেশ দূর্গম এবং বেশ কয়েকটি দেশের রাজনৈকিত অবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলার অবস্থা স্থিতিশীল না। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের ভিসার জটিলতা আছে এবং অনুমতি পাওয়াও কঠিন হবে।
সুত্র- গুগল।
Rate This Article
Thanks for reading: পায়ে হেটে পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত | , Stay tune to get latest Blogging Tips.